বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর সেতু ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত দুই দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক কথাই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকাকে বলেছেন-একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে এবং বাংলাদেশে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হবে।
‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এমনও বলেছেন, জনগণ যদি আমাদের ভোট নাও দেয় তাহলে আমরা কুইট করবো (সরে যাবো)। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হবে, এ রকম একটি কনডিউসিভ অ্যাটমোসফেয়ার (সহায়ক পরিবেশ) আমরা গড়ে তুলছি ইলেকশনের জন্য। আমি সে কথারই পুনর্ব্যক্ত করেছি, ভালো একটি ইলেকশন হবে, ইনশাল্লাহ। আশা করি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য পরিবেশও কনডিউসিভ (সহায়ক) থাকবে। ’
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ওয়ার্কিং ও স্ট্যান্ডিং একটি বড় দল আমাদের মধ্যে থাকলে ভালো। নানা কারণে কনডিউসিভ অ্যাটমোসফেয়ারটা বিঘ্নিত হয়েছে, ওয়ার্কিং-আন্ডার স্ট্যান্ডিংটা হয়নি। যেটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ও প্রয়োজনীয়।
‘রাষ্ট্রদূত (বার্নিকাট) বারবার বাংলাদেশে একটি কনডিউসিভ অ্যাটমোসফেয়ার ইলেকশনের কথা বলেছেন। এ পরিবেশ নষ্ট হয় কেন? এটার জন্য কি শেখ হাসিনা দায়ী?’
খালেদা জিয়ার কারাগারে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে বিশ্বের মতামতের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আর্ন্তজাতিক বিশ্ব কি সাজাপ্রাপ্ত কাউকে (নির্বাচনের) ভেতরে আনতে বলেছে, এটা আমারও প্রশ্ন?
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নভেম্বরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছি। যাওয়ার আগে এটা আমার বিদায়ী সাক্ষাৎ।
‘আমরা অবশ্যই একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই,’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলে যান বার্নিকাট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এসই/এমএ