রোববার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসএমপির অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে ২৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ওই দিন যে স্থানে ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ করতে চেয়েছে, সেখানে আরেকটি সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিএনপির সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদও বাংলানিউজকে জানান, ঐক্যফ্রন্টকে সিলেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে দুই দফায় আবেদন করে সিলেট বিএনপি। গত ১৭ অক্টোবর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ২৩ অক্টোবর সিলেট রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন এসএমপি কমিশনারের কাছে। পরদিন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোনে বিএনপি নেতাদের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন।
এরপর ফের একইস্থানে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে ২০ অক্টোবর আবেদন করা হলেও কোনো সাড়া পায়নি বিএনপি। এর প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপি নেতা আলী আহমদ। আবেদনে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবেন না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়, এছাড়া সমাবেশ করতে দেওয়ার আবেদনও করা হয়। সোমবার এই রিটের শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত। তবে তার আগেই পুলিশ সমাবেশের অনুমতি প্রদান করে।
ঐক্যফ্রন্টকে বেঁধে দেওয়া ১৪ শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- রাষ্ট্রবিরোধী কোনো ধরনের বক্তব্য বা বিবৃতি দেওয়া যাবে না, ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধের উপর আঘাত হানে এ ধরনের কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান বা কোনো ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা যাবে না এবং ২টা থেকে ৫টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এনইউ/এইচএ/
** সিলেটে সমাবেশ করতে না দেয়ায় হাইকোর্টে ঐক্যফ্রন্ট