সোমবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায়, সংবিধানের ভেতরে থেকেই অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।
‘দেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তাতে সবাই অংশ নেবে বলেই আমরা মনে করি। এর লক্ষ্মণও দেখা যাচ্ছে। যে ঐক্যজোট তৈরি হয়েছে, তা নির্বাচনের লক্ষ্যেই হয়েছে। বিএনপি এই জোটে অংশ নিয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে তারা নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছে। সিলেটে সমাবেশের অনুমতি তারা পেয়েছে। এরপর তারা চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় যাবে। ’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তোফায়েল বলেন, তারা বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছে। ২০১৫ সালে জ্বালাও-পোড়াও করাও যে ভুল-সেটা বুঝেই এখন সভা-সমাবেশ করছে।
‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আটক-গ্রেফতার নিয়ে কথা বলেছেন। আমি বলেছি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ’
তিনি বলেন, সত্তুরের নির্বাচনে মওলানা ভাসানীর দল অংশ নেয়নি। তারা আওয়ামী লীগকেও নির্বাচনে না যেতে বলেছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নির্বাচন বয়কট করেননি। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের স্বাধীনতার কার্যক্রম শুরু হয়। ভাসানী এই নির্বাচনে আসেননি বলে আপনি সেই নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য বলতে পারেন না।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বলেন, আমি সব দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের বলেছি, সহিংসতার পথে না গিয়ে শান্তির পথে থাকতে এবং নির্বাচনে অংশ নিতে।
‘যুক্তরাষ্ট্র আশা করে আগামী নির্বাচন বেশির ভাগ দলের অংশগ্রহণে, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের অর্থনীতির যে অগ্রযাত্রার গল্প গত কয়েক বছরে লেখা হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে। ’
বার্নিকাট বলেন, যেকোনো দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নির্ভর করে সে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালিত গণতান্ত্রিক শাসনের ওপর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
আরএম/এমএ