বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে তারা কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন মধুবন মার্কেটের সামনে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
এসময় 'জয় বাংলা', 'নৌকা নৌকা' সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিলিত হন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে মাত্র আধা কিলোমিটারের মধ্যে আওয়ামী লীগ অবস্থান নেওয়ায় সংঘাতময় পরিস্থিতর সৃষ্টি হতে পারে মনে করে সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠ ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদসহ সিলেটের বেশ কয়েকজন নেতাকে দেখা যায়।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আওয়ামী লীগ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারের ১০ বছর মেয়াদের সব উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি করতেই এখানে জড়ো হয়েছে।
তবে তাদের এই কর্মসূচি ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ আমাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না। তবে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে কোনো ধরনের উসকানিমূলক ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হলে সিলেটের সর্বস্তরের জনসাধারণকে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীতে শো-ডাউন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ।
এদিন বাদ জোহর দরগাহ এলাকা থেকে আওয়্মী লীগ নেতাদের নিয়ে উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি করেন তিনি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমানসহ কয়েকজন নেতা ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।
তাদের অভিযোগ, সমাবেশ বানচাল করার জন্য রাতে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এটা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল আহাদ খান জামাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এনইউ/এএ