মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয় ফুলধন চাকমার ছেলে দিলীপ চাকমা (৪২), জ্যোতির্ময় চাকমার ছেলে ঋতু চাকমা (৩৮) এবং মৃত লক্ষ্মী কুমার দেওয়ানের ছেলে তৃঙ্গ রাম দেওয়ানকে (২৮)।
গ্রেফতারকৃতরা প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) সক্রিয় কর্মী।
অপরদিকে বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন থেকে জয়সেন চাকমার ছেলে সুবাস চাকমাকে (৪০) গ্রেফতার করে। তিনি সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতারকৃতরা শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল হক রণি বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতারকৃতদের বুধবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ৩ মে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও এমএন লারমা গ্রুপের অন্যতম নেতা অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে ব্রাশ ফায়ার করে পালিয়ে যায়। এসময় তার সঙ্গে থাকা তার সংগঠনের অন্য নেতা রূপম চাকমাও গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পর প্রতিপক্ষের ৪৬ জনকে আসামি করে নানিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এসআই