বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিসে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের হাত ধরে দলে ফেরেন ১১ নেতা।
বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার ইচ্ছা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের পরই তাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় দলীয় সূত্রে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, শুনেছি কয়েকজন নেতা গুলশান অফিসে এসেছেন। তবে কারা এসেছেন, কিজন্য এসেছেন এ সম্পর্কে কিছু জানি না।
জানা যায়, সংস্কারপন্থিদের যারা অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্য ভুল স্বীকার করে বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে আবেদন করেছেন, শুধু তাদেরই দলে ফেরানো হচ্ছে। ধাপে ধাপে অন্যদেরও দলের মূল স্রোতে ফিরিয়ে নেয়া হবে। প্রথম ধাপে ১১ জনকে ফিরিয়ে নেওয়ার পেছনে কাজ করেছেন সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন।
দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পেয়ে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে বিএনপি শিগগিরই চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছে বলে জানা যায়। মাঠের আন্দোলনে নামার আগে সবাইকে নিয়ে শক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায় দলটি। এ লক্ষ্যে দলের পুরনো নেতাদের মধ্যে যারা যেখানে আছেন সবাইকে কাছে টানার চেষ্টা করছে।
যারা দলে ফিরলেন তাদের মধ্যে আছেন সাবেক মন্ত্রী আলমগীর কবির, সাবেক হুইপ আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান, আবু হেনা, জিএম সিরাজ, সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, নজির হোসেন, ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, আতাউর রহমান আঙ্গুর, ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, শফিকুল ইসলাম তালুকদার, শহিদুল আলম তালুকদার ও জহির উদ্দিন স্বপন।
জানা যায়, বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের নেতৃত্বে দলের এসব সাবেক নেতারা দলে ফিরলেন।
বিএনপির এসব সংস্কারপন্থি নেতাদের দলে ফেরা নিয়ে দলীয়ভাবে কোনো বক্তব্য মিডিয়াকে জানানো হয়নি। দলের নেতাদের দাবি ওই নেতারা বিগত দিনে দলেই ছিলেন, এখনও আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এমএইচ/এএ