রোববার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়।
গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওম শফিকুল্লাহ চিঠি নিয়ে শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে লেখা চিঠির শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান ড. কামাল হোসেন।
কামাল হোসেনের লেখা চিঠির কথাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘প্রিয় মহোদয় শুভেচ্ছা নেবেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক দীর্ঘ আন্দোলন- সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা।
যে সব মহান আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত ও আত্মত্যাগের উদ্বুদ্ধ করেছিল -তার অন্যতম হচ্ছে 'গণতন্ত্র’।
গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এবং জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে- রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনা করবে- এটাই আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার।
আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনকে একটি মহোৎসব মনে করে। 'ব্যক্তির এক ভোট' এর বিধান জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধুই নিশ্চিত করেছেন- যা রক্ষা করা আমাদের সবার সাংবিধানিক দায়িত্ব।
ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারসমূহ আদায়ের মূলশক্তিতে পরিণত করে- তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন।
নেতিবাচক রুগ্ন রাজনীতি কিভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহা সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তাও আমাদের অজানা নয়। এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানো আজ আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবার অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সে লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ”
চিঠির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-এর সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
এমইউএম/এসকে/এসএইচ