রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেছেন ফখরুল।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, সরকার সংলাপে কতটুকু আন্তরিক, এই রায়েই বোঝা যাচ্ছে। সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, তা অনুমান করা যাচ্ছে। এই রায় অস্বাভাবিক, সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। কোনো প্রকার সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই এই সাজা দেওয়া হলো।
ফখরুল বলেন, আদালতকে ব্যবহার করে সরকার বিরোধী দলকে নির্মূল করছে। গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে। সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়।
দুই রায়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য হয়েছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত, তাহলে খালেদার মুক্তি ছাড়া অন্য দাবিগুলো সরকার মানলে নির্বাচনে যাবেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী,
এদিকে আগামী ২ নভেম্বর (শুক্রবার) জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান ফখরুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
টিএম/জেডএস