শুক্রবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে গণফোরাম কার্যালয়ে জাতীয় জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এসে ভাবতে হচ্ছে, জনগণ কী পেল? যারা উন্নয়নের কথা বলেন, তারাই বিদেশে টাকা পাচার করেছেন।
ড. কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এ দেশের সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। জনগণই এ দেশের মালিক। ১৯৭১ সালেও এই জনগণই অস্ত্র ছাড়াই রুখে দিয়েছে পাকিস্তানিদের। আমরা ভয় করি না। জনগণ আবার জেগেছে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। বৈষম্যমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য।
সংলাপ শেষ হয়েছে, এখন আপনারা কী করবেন— এমন প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা বলেন, সংলাপ চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আমাদের কথাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কানে দিয়েছি। মানবেন কি মানবেন না, সেটি ওনাদের ব্যাপার। আমাদের দাবির আন্দোলন চলবেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে, এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আসলেই কি সুযোগ নেই— জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ আছে। তবে সেটি কী পদ্ধতিতে হবে, তা নির্ভর করবে আলোচনার ওপর। সবার ঐক্যমতের ওপর। সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনী রাখা যায়। আলোচনায় অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে একমত হওয়া যায়। কাজেই আমরা আশা করি, সরকার বিষয়টি ভাববে এবং ফের সংলাপে বসবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস