আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ সংলাপে বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে।
**সংলাপের জন্য গণভবনে যুক্তফ্রন্ট
প্রতিনিধি দলে আছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, সহ-সভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, মাহবুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, নির্বাহী সদস্য সাবেক এমপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটির (বিএলডিপি) সভাপতি নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ইউনাইটেড মাইনরিটি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান দীলিপ কুমার দাস, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা ও এনডিপির মহাসচিব মনজুর হোসেইন ঈসা।
বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী দেশের বাইরে থাকায় তিনি এ সংলাপে যোগ দেননি বলে জানিয়েছেন বি. চৌধুরীর প্রেস সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের নেতারাই যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে উপস্থিত আছেন।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের সংলাপে ডাকার পরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসতে আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি দেন এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে সাড়া দেন।
সংলাপে যা তুলে ধরবে যুক্তফ্রন্ট
১. নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অর্থাৎ সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সম্ভব না হলে নিষ্ক্রীয় করতে হবে। এজন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ক. নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মচারীদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করতে হবে। খ. নির্বাচন কমিশন শতভাগ প্রেসিডেন্টের অধীনস্থ করতে হবে। গ. তফসিল ঘোষণার পর এমপিরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনো প্রকল্প উদ্বোধন/ প্রতিশ্রুতি যাতে না দিতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় আইন করে মন্ত্রী ও এমপিদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে। ঘ. সরকারি দলের প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার অপসারণ করা।
২. নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় সরকার গঠন: প্রয়োজনে একদিনের জন্য সংসদ ডেকে জাতীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে। অথবা মন্ত্রিপরিষদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা জোট থেকে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় প্রদান করেও একটি সন্তোষজনক নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। নির্বাচনে সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার অথবা বর্তমান সরকারের নির্বাচন বিষয়ে সম্পূর্ণ ক্ষমতা সীমিত করা।
৩. সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এবং নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর পর্যন্ত মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনীকে সীমিত ক্ষমতা দিতে হবে যেমন, আটক রাখার ক্ষমতা ও তাদের ভোটকেন্দ্রে থাকতে দিতে হবে। যাতে করে ভোটের দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে।
৪. আধুনিক এবং বিজ্ঞানমনস্ক নির্বাচনে আমাদের অনেক আগ্রহ আছে। কিন্তু ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন ( ইভিএম) সম্পর্কিত যেসব প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা অর্জন প্রয়োজন তা আমাদের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথেষ্ট নেই। সেজন্য আমরা এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সঠিক হবে না বলে মনে করি।
৫. নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কারণে আটক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।
৬. নির্বাচন সম্পর্কিত মামলা নির্বাচনের পর এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন অতি শিগগির প্রণয়ন করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৮
এসকে/আরআর