শুক্রবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদ রাকিবুল হাসান রাশেদ, শ্রীউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, যুবলীগ নেতা এলাহী, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শামীমুজ্জামান পলাশ, একই এলাকার সুরেশ মণ্ডলের ছেলে দীপংকর মণ্ডল, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন জোয়াদ্দারের স্ত্রী সাহিদা খনম।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয়দের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক করছিলাম। এসময় ৭-৮টি মোটরসাইকেল নিয়ে সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন পরিষদে এসে আমার ওপর হামলা করে। তারা আমাকে লক্ষ্য করে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কোপ মারতে যায়। এসময় বাধা দিতে গেলে শ্রীউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলামের মাথায় কোপটি লাগে। এছাড়াও আরও দু’জন আহত হয়। পরে চারিদিক থেকে এলাকাবাসী ছুটে এসে ইউনিয়ন পরিষদ ঘিরে ফেলে।
অপরদিকে, আহত দীপংকর মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর পার্শ্ববর্তী খাজরা ইউনিয়নের কিছু নেতা-কর্মী শ্রীউলায় আসেন। তাদের নাস্তার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি ও নজরুল ইসলাম শ্রীউলা বাজারে যান। বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান সাকিলের ছেলে সৌরভ রায়হান সাদ আকস্মিক তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
বিষয়টি শামীমুজ্জামান পলাশকে জানালে পলাশ ও জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে গেলে চেয়ারম্যান সাকিলের নেতৃত্বে তার ছেলে সাদ, ভাই শামীম, রেজাউল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, নারী মেম্বর তহমিনা ও তার স্বামী শফিকুল, শহীদুল্লাহ, আব্দুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন জিআই পাইপ, লোহার রড, হাতুড়ি ও কুড়াল নিয়ে তাদের উপর হামলা করে।
এ ঘটনায় আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ বাংলানিউজকে জানান, আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে বলে শুনেছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান সাকিল উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের সমর্থক। আর সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শামীমুজ্জামান পলাশ সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রুহুল হকের সমর্থক। মূলত আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
এএ