সোমবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার শুধু রুটিন কাজ করে বাংলাদেশেও তাই হবে।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আলোচনা ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন দাবি করে সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থেই সংলাপে সাড়া দিয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করেছে, যারা আমাদের নেত্রীকে বারবার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সাতটি দাবিও দিয়েছিলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী কয়েকটা দাবি পূরণেরও আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা দেখতে পেলাম তাদের কয়েকজন নেতা একদিকে আলোচনা করছেন, অন্যদিকে গরম বক্তৃতা দিচ্ছেন এবং আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। অর্থাৎ আলোচনাকে ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে এবং ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো আন্দোলনের নামে যদি দেশে কেউ অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের মোকাবেলা করে দমন করতে হবে।
শাহাবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম আতিকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
আরবি/