জানা গেছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হতে পারে জনসভা থেকে। অন্যথায় হরতাল-অবরোধ-লংমার্চ-নির্বাচন কমিশন ঘেরাওর মতো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার (০৫ নভেম্বর) রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে জোটের মুখপাত্র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনসভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে। কি ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে তা তিনি খোলাসা করেননি। তবে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংলাপ এবং আন্দোলন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিষয়। দু’টোই একইসঙ্গে হতে পারে।
এর আগে সোমবার দুপুরে ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে। কমিশনারের মৌখিক অনুমতি পাওয়ার পরই শুরু হয় মঞ্চ নির্মাণের কাজ। রাতভর মঞ্চ নির্মাণ শেষ করা হয়। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, রাতভর মঞ্চ নির্মাণ শেষ করা হয়েছে। জনসভার জন্য মাঠ এবং মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত।
ঐক্যফ্রন্ট মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভায় বিপুল লোকের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি বড় ধরনের শোডাউন করতে যাচ্ছে। এজন্য প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে। এরইমধ্যে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মীদের জনসভায় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার জনসভার ভেন্যু পরিদর্শন করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, জনসভায় রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা হবে এটি।
ফ্রন্টের সিনিয়র এক নেতা জানান, দ্বিতীয় দফা সংলাপের মধ্য দিয়ে সমঝোতা হলে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান হবে ইতিবাচক; অর্থাৎ আন্দোলন বাদ দিয়ে তারা নির্বাচনের মাঠে নামবেন। আর সংলাপ ব্যর্থ হলে আন্দোলনের পথেই হাঁটবেন তারা। এই বার্তাটিই থাকবে জনসভায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস