এ প্রশ্ন তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আচরণবিধির ১৪ ধারায় বলা আছে, সরকারের সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তার সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করতে পারবেন না।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, সেদিনের অনুষ্ঠানটি সরকারি কোনো কর্মসূচি ছিল না। সরকারের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এবং রাষ্ট্রীয় ভবন গণভবনকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকে বিতর্কিত করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্বাচনী আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হয় যে, সরকার একতরফা ও ভোটারশূন্য নির্বাচনের পথেই হাঁটছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নির্মাণ করতে দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রহমানসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন তা অরুচিকর, অশ্রাব্য ও উসকানিমূলক। তফশিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না।
‘দলবাজ নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কখনোই সাহসী হতে পারবেন না। সুস্পষ্টভাবে প্রধানমন্ত্রী আচরণবিধি অমান্য করলেও নির্বাচন কমিশন তাতে কর্ণপাত না করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের গোপন মিশনগুলির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছে। ’
রিজভী বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হককে একটি মিথ্যা মামলায় বিচারিক আদালত সাজা দেয়। এরপর তিনি এই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে উচ্চ আদালত ব্যারিস্টার আমিনুল হককে মামলা থেকে খালাসের সিদ্ধান্ত দেন। অথচ কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়া আমিনুল হকের বিরুদ্ধে উড়ো, অবান্তর ও মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম পটু, আবেদ রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএইচ/এএ