ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণ এখন নির্বাচনের মুডে, আন্দোলনের মুডে না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
জনগণ এখন নির্বাচনের মুডে, আন্দোলনের মুডে না ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)

ঢাকা: দেশের জনগণ নির্বাচনের মুডে রয়েছে। তারা এখন আন্দোলনের মুডে নেই। বিএনপি যতই আন্দোলনের কথা বলুক জনগণ এখন নির্বাচনের মুডে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে বিএনপি নানাভাবে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।

রোববার (২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।  

তিনি বলেন, বিএনপি তাদের প্রধানমন্ত্রী ফেজ প্রদর্শন করতে পারেনি।

এটা তাদের ব্যর্থতা। নির্বাচনের আগে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে তা ঠিক করতে না পারায় তাদের পরাজয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো তাদের কোনো নেতা নেই।  

এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন,  আমরা বার বার একই কথা বলছি, যারা নির্বাচনের এক মাস আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তন চায়, তারা নির্বাচন থেকে সরে যেতে চায়। তারা মাথা ছাড়া নির্বাচন করছে। যেকোন দেশে একজনকে ঘিরেই নির্বাচনটা আবর্তিত হয়।  সেটা হলো যিনি দলের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। এখানেই তো তাদের ফলাফল হয়ে গেছে।  তাদের কোনো নেতৃত্ব নেই। বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল ড. কামাল হোসেন সাহেব ঐক্যফ্রন্টের নেতা। এখন ঐক্যফ্রন্টের নেতাই তো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন না।  এটি হলো মাথাছাড়া নেতৃত্ব। কামাল হোসেন সাহেব তো আর দৃশ্যপটে নেই। তিনি ইলেকশন করছেন না।  

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচনটা হবে। তবে আগামী নির্বাচনে কারা জিতবে সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে। দিন যতই যাচ্ছে ততই আওয়ামী লীগের বিজয় স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তির উপর নির্ভরশীল। বিএনপি গুজবের উপর নির্ভরশীল একটি দল। তাদের জনগণের উপর আস্থা কম। জনগণের উপর আস্থা কম বলেই গুজবের উপর নির্ভরশীল।  

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মনোনয়ন নিয়ে এবার অন্যবারের মতো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনেক কমে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না, তাদের ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বহিষ্কার। আর এই বহিষ্কার হবে আজীবনের জন্য। যেই জোর করবে তাদের বিরুদ্ধেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদের মনোনয়ন নিশ্চিত তারা দল থেকে তেমন ইঙ্গিত পেয়েছেন। আমরা দলীয়ভাবে কিছু ইঙ্গিত তো দিয়েছি।  

বিএনপি গণগ্রেফতারের অভিযোগ করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, সারাদেশে কোথাও কোনো খারাপ আভাস নেই। ইন্টারনাল ম্যাটার নিয়ে, ক্ষোভ-দুঃখ নিয়ে ছিটেফোঁটা সমস্যা কিছু জায়গায় হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। নির্দিষ্ট করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলতে হবে, সিডিউল ঘোষণার পর কারা কারা গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়বেন, এটা কি বিশ্বাস করতে হবে? পল্টনের ঘটনায় যারা ভায়োলেন্স করছে তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নিতেই হবে।  

বাংলাদেশ সময: ১২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮/আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা
এসকে/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।