আহত অবস্থায় বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ৭টার দিকে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ইউনিট-১ এ ভর্তি করা হয়েছে।
এরআগে বুধবার দুপুরে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট বন্দরে এক বিএনপি নেতার বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত নুরুর রহমান জানান, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার জন্য বুধবার বেলা ১১টার দিকে পাতারহাট বন্দরে যান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তার দলের প্রার্থীর পক্ষে কর্মসূচি করছেন। যে কারণে বিকেলে গণসংযোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফসার হোসেন আলমের বাসায় গিয়ে উঠি। বেলা ১টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিটিং শেষ হওয়ার পর দেখতে পাই ২/৩শ’ লোক চিৎকার দিয়ে আফসার হোসেনের বাসার দিকে আসছে।
পরে তারা সেখানে এসে নানান ধরনের হুমকি-ধামকি দেয় এবং আফসার হোসেনের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। বাড়ির বাহির থেকে ভাঙচুর করে ভেতরে প্রবেশ করে আমাকে মারধর করে এবং আমার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে তাদের কাউকে চিনতে না পারলেও এরা স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমীক লীগের নেতা-কর্মী।
এ বিষয়ে বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পংকজ নাথ বাংলানিউজকে বলেন, আমি তিনদিন ধরে হিজলা ও কাজিরহাটে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছি। যেটা আমি শুনেছি, আজ এই ভদ্রলোক (জে এম নুরুর রহমান) বিএনপির প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি কিংবা দায়িত্বশীল কারো বাসায় না গিয়ে উঠেছেন বিতর্কিত এক নেতার বাসায়। আর যে গলিতে ওই নেতার বাসা সেটা বিএনপির গলি নামে পরিচিত। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের আড্ডা।
তিনি বলেন, আজ মেহেন্দিগঞ্জে আমাদের (স্বেচ্ছাসেব কলীগের) কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মো. কাওসার এসেছেন মেহেন্দিগঞ্জে, সেখানে আমাদের নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন। ওখানে ওনি (জে এম নুরুর রহমান) কোথায় গিয়েছেন কারা মেরেছে তা আমাদের নেতা-কর্মীদের জানার কথা না।
নৌকার প্রার্থী বলেন, মেজবা উদ্দিন ফরহাদ মেহেন্দিগঞ্জের সাবেক এমপি ছিলেন, তার নেতৃত্বেই মেহেন্দিগঞ্জ বিএনপি চলছে। পুরো কমিটিই তার অধীনে। এটা মূলত বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ, তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ। এখানে আওয়ামী লীগের কারো জড়িত থাকার সুযোগ নেই, কারণ আমাদের অন্যত্র প্রোগ্রাম ছিলো।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন দিপেন বলেন, কোন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের বিষয় নেই, আমাদের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের ভয়ে প্রচার-প্রচারণাই চালাতে পারছে না। প্রার্থীর ওপর তারা হামলা চালিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন খান জানান, প্রার্থীদের গণসংযোগ নিয়ে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে, তবে সেখানে তেমন কিছু হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এমএস/জেডএস