তিনি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে তারা বাংলাদেশের ধর্মভীরু মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ধর্মকে ব্যবহার করলেও বিএনপি কখনোই এদেশে ইসলামের খেদমতের জন্য কিছুই করেনি।
শুক্রবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আলেম সমাজের মাথায় কাঁঠাল ভেঙেই অতীতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেছে। তবে আলেম সমাজের উপকারে কোনো কাজ তারা করেনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য, আলেম সমাজের জন্য অনেক কাজ করেছেন। বাংলাদেশের আলেমদের শতবর্ষের দাবি ছিল একটি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। তবে এর আগে অনেকেই ক্ষমতায় এলেও আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। শতবর্ষের দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।
ইসলামকে যারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেন তারা এর খেদমতগার নন- এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি অনেক পুরোনো দাবি। তবে দাবি পূরণ হয়নি। বিএনপি-জামায়াত ইসলামের কথা বলে ক্ষমতায় গেলেও কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দেয় নাই। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার সনদ এখন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ডিগ্রির সমমানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধু স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, এ নিয়ে সংসদে আইন পাস করা হয়েছে।
ধর্ম নিয়ে যেমন বিএনপি রাজনীতি করে, তেমনি খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যা নিয়েও বিএনপি রাজনীতি করছে- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের চিকিৎসা করতে এসে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক দল ও ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠী যেখানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকে বিশ্বমানের বলে অভিহিত করছেন। সেখানে বিএনপি নেতারা এ মেডিকলের সেবার মান নিয়ে যখন অভিযোগ তোলেন তখনই বোঝা যায় আসলে বিএনপি মূলত খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।
খালেদা জিয়ার পায়ের সমস্যা অনেক পুরনো, এটা নতুন না। এ সমস্যা নিয়েই তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রীত্ব করেছেনে, বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন, চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন এটা নিয়ে রাজনীতি করে বিএনপি আসলে জনগণের সহানুভূতি পেতে চাইছে- বক্তব্যে যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইলের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন সহ সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
এসএইচ