মঙ্গলবার (১১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর ‘পাঁয়তারা’ জনস্বার্থ বিরোধী।
বর্তমানে জ্বালানি গ্যাস নিয়ে লুটপাট ও দুর্নীতি চলছে। এই সমস্ত লুটপাটকারী, দুনীতিবাজদের সহায়তা করার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। কোনো ভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ানো যাবে না। দাম বাড়ানোর পায়তারা করা হলে তার বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দলকে সম্মিলিতভাবে তীব্র আন্দোল গড়ে তুলতে হবে।
তারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়বে সব সেক্টরে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যও আকাশছোঁয়া। মানুষের বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। এর ওপর গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা 'মরার ওপর খাড়ার ঘা'র মতো হয়ে দাঁড়াবে। গ্যাসের দাম বাড়ানো পাঁয়তারা দেখে জনমনে প্রশ্ন জাগে সরকার কি শুধু দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই? এ সরকারের কি মানুষের ওপর দরদ নেই?
গ্যাসের দাম বাড়ানোর গণবিরোধী পাঁয়তারা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা সরকারের সম্পূর্ণ গণবিরোধী পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপ জনগণের পকেট কেটে রাষ্ট্রের কিছু লুটেরা ব্যক্তিদের লাভবান করার, দুর্নীতিকে আরো উৎসাহিত করার। সরকার জনগণের বিরুদ্ধে লেগেছে। তারা ১০ বছরে ৬ বার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/