বুধবার (১২ জুন) মধ্যরাতে নগরের বনকলা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুদু মিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুদু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বনকলাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। ঘটনার সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে সঙ্গীয় ৪-৫ জনসহ সাদিয়া টেলিকম নামক একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন।
স্থানীয় জনতা মাইকে ডাকাত এসেছে ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করলে তাদের ঘেরাও করে গণপিটুনি দেয়। এসময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনাস্থলে মারা যান দুদু মিয়া। খবর পেয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।
সূত্র আরও জানায়, সিসিক কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গ্রুপের কর্মী পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাত দুদু ও তার লোকজন। গত ১৪ এপ্রিল বনকলাপাড়া নুরানী আবাসিক এলাকায় ভাগ্নির বাসায় বেড়াতে আসা এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে দুদু ও তার সঙ্গীয়রা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুদুসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে বেরিয় আসার পর গণপিটুনির শিকার হয়ে প্রাণ হারান দুদু।
মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই স্থান থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি দা জব্দ করা হয়েছে।
নিহত দুদু মিয়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বলে স্থানীয়ভাবে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় তার সঙ্গে থাকা অন্যরা পালিয়ে গেলেও দুদু জনতার রোষানলে পড়ে গণপিটুনিতে মারা যান বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুছা বাংলানিউজকে বলেন, নিহত দুদু মিয়া গণধর্ষণ ও কয়েকটি ডাকাতি মামলার আসামি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এনইউ/জিপি