বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে নিহত দুদু মিয়ার ভাই জুয়েল খান বাদী হয়ে অভিযোগ দিলে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারের স্বার্থে আসামিদের নাম বলা যাচ্ছে না। তবে এখনো অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১২ জুন) মধ্যরাতে নগরের বনকলা পাড়ায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী দুদু মিয়া (৩৮)। তিনি হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার জলশোকা গ্রামের মৃত তমিল খানের ছেলে। তিনি বনকলা পাড়া এলাকার একটি বাসার ভাড়াটে বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুদু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বনকলাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। ঘটনার সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে সঙ্গীয় ৪-৫ জনসহ সাদিয়া টেলিকম নামক একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় জনতা মাইকে ডাকাত এসেছে ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করলে তাদের ঘেরাও করে গণপিটুনি দেন। এসময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনাস্থলে মারা যান দুদু মিয়া।
খবর পেয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওই স্থান থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি দা জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, সিসিক কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গ্রুপের কর্মী পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতেন দুদু ও তার লোকজন। গত ১৪ এপ্রিল বনকলাপাড়া নুরানী আবাসিক এলাকায় ভাগ্নির বাসায় বেড়াতে আসা এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে দুদু ও তার সঙ্গীয়রা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুদুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি এ মামলায় কারাগার থেকে জামিনে বেরিয় আসার পর গণপিটুনির শিকার হয়ে প্রাণ হারান দুদু। নিহত দুদু মিয়া গণধর্ষণ ছাড়াও কয়েকটি ডাকাতি মামলার আসামি ছিলেন জানায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এনইউ/এএ