বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক যৌথ কর্মীসভায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুল বলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখা যায় একজন ব্যক্তি ৯টি ব্যাংকের মালিক হয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে হাজার হাজার টন কয়লা ছাঁই হয়ে যাচ্ছে। পাথর হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশকে লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নাম ‘নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি’ রাখা উচিত।
মির্জা ফখরুল গ্রাম পর্যায়ে ভিজিডি-ভিজিএফ ধান-গম ইত্যাদি আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বিতরণের বর্ণনা দিয়ে বলেন, বর্তমানে সর্বত্র দলীয়করণ চলছে।
এসময় তিনি হতাশা ব্যক্ত করে আরও বলেন, এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন?
নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, কাজ করছি। সব সময় যে সফল হচ্ছি তাও না। কিন্তু এ দেশের মানুষের মুক্তি ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল। বাকশাল চালু করেছিল। সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার সে ব্যবস্থা না করলেও অটো বাকশাল কায়েম করেছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। কারণ আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবো। মানুষের জন্য সংগ্রাম করবো এবং একদিন সেই সংগ্রামে জয়ী হবো ইনশাল্লাহ।
ফখরুল আরো বলেন, আজকে এ সরকারের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে হলে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে সংগঠনকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
বালিয়াডাংগী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রজিউর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কায়েস, বালিয়াডাঙ্গী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এসএইচ