শনিবার দুপুরে ঢাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) ধানমন্ডি শাখায় মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের দিনব্যাপী 'ক্যারিয়ার এক্সপো ২০১৯' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজের জীবনের উদাহরণ টেনে একথা বলেন।
ডিআইইউ'র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ও প্রখ্যাত শিল্পকলাবিদ মোস্তফা মনোয়ারসহ ডিআইইউ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মন্ত্রী এসময় দেশে মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি অধ্যয়নে প্রথম বিভাগ খোলায় ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিকে অভিনন্দন জানান। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে অ্যানিমেশন বিষয়ে সৃষ্টিশীল অধ্যয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।
‘কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে হলে জীবনকে নিতে হবে সংগ্রাম হিসেবে। হার না মানা যুদ্ধসংগ্রামের মধ্য দিয়েই অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। ’
আধুনিক যান্ত্রিকতার এ যুগে আমাদের মানবিকতা যেন হারিয়ে না যায়, আমরা যেন যন্ত্র না হয়ে যাই, স্মরণ করিয়ে দেন ড. হাছান।
বক্তব্য শেষে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলের সব কর্মকাণ্ড অবৈধ। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অবৈধভাবে জন্ম নেওয়া দলটি ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে, তাদের নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন আর তারেক রহমানের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সম্পৃক্ততা হাইকোর্টে প্রমাণিত হয়েছে, তাদের মুখে গণতন্ত্র শুনে জনগণ মুচকি হাসে। '
খালেদা জিয়ার সাজায় সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ দ্ব্যর্থহীনভাবে খণ্ডন করে এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার হস্তক্ষেপ করলে খালেদা জিয়ার মামলা শেষ হতে ১০ বছর লাগতো না, বহু আগেই তিনি জেলে থাকতেন। আর তারেক রহমানের অপরাধের বিষয়ে এফবিআই পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার ঢাকার নয়াপল্টনে আইনজীবীদের একটি দলের বিক্ষোভ মিছিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, বিক্ষোভ মিছিল তারা করতেই পারেন, যদি জনগণ বা রাষ্ট্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
এএ