মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে বাধা পেয়ে তারা এ ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা টেবিল ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে।
বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি মামুন বিল্লাহ ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি। বরং বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি মানার জন্য আগামী বুধবার (২৬ জুন) একদিনের সময় দিয়েছি। বুধবারের মধ্যে দাবি না মানলে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আবারও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।
আহত মাহবুব ইমতিয়াজ নামের বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের কর্মী অভিযোগ করেন, ডাকসুর জিএস প্রার্থী অনিক এবং এজিএস প্রার্থী সোহেল তার ওপর ভাঙা কাঁচ নিক্ষেপ করেন। এতে তিনিসহ কয়েকজন রক্তাক্ত হন। 
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান গেটে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অবস্থানের ফলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ শতাধিক নেতাকর্মী প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন।
এদিকে, ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যেখানে দাঁড়িয়ে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন, সেখানেই দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে আন্দোলন চলাকালে এ ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রদল বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে চলে যাওয়ার পর ককটেল দুটি বিস্ফোরণ হয়। 
ককটেল দু'টি একটা প্রাইভেটকারের ওপর পড়ায় কাঁচ ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি মামুন বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সময় দিয়ে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মী চলে যাওয়ার পর কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/


