মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল ৪টায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা অনেক কিছু আবিষ্কার করছে।
বিজ্ঞান গবেষণায় বরাদ্ধের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। তার স্বামী ড. ওয়াজেদ আলী ছিলেন পরমাণুশক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান। তার সঙ্গে সংসার করতে গিয়ে তিনি নিজেও একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষে পরিণত হয়েছেন এবং তার সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। তাই বিজ্ঞান গবেষণায় অর্থ বরাদ্দের বাড়ানোর কথা তিনি নিজেই বলেন।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ রচনা করবে। ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই, তরুণরা আমাদের সেই লক্ষ্যে নিয়ে যাবে। সেজন্য তরুণদের স্বপ্ন থাকতে হবে। স্বপ্নহীন মানুষ বেশিদূর এগোতে পারে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষকদের আমি অনুরোধ করবো, আমরা মেধাবী মূল্যবোধসম্পন্ন ও দেশাত্মবোধ জাগ্রত জাতি গঠনে মনোযোগী হই। এই তিনটি সমন্বয় ছাড়া পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। কারণ উন্নত জাতি গঠনে উন্নত মানুষ প্রয়োজন।
বক্তব্যের শেষে মন্ত্রী ৪০তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, তৃতীয় জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এবং তৃতীয় জাতীয় বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইতি রাণী পোদ্দার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাদুঘরের ভারপ্রাপ্ত মহা-পরিচালক মো. নুরুল আলম।
তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে প্রায় ৬শ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় সিনিয়র, জুনিয়র ও বিশেষ গ্রুপে প্রথম স্থান করেন মোট ১৯৮ জন।
তৃতীয় জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নেন সিনিয়র ও জুনিয়র গ্রুপে মোট ১২৬ জন।
বিজ্ঞান বিশয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৬ জন অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯।
আরকেআর/এএ