বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস- ২০১৯ উপলক্ষে এক সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের প্রথম দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তি, এরপর আমাদের দাবি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ সমস্যা সমাধান।
তিনি বলেন, আজ যারা নির্যাতিত হয়েছে তারা বারবার বলছেন আমরা নির্যাতিত হয়েছি, আমরা মানসিকভাবে পরাজিত হইনি, আমরা এই মুহূর্তে চাই সবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবো।
মহাসচিব বলেন, মানবসভ্যতার ইতিহাস বলছে, জনগণের শক্তি দিয়ে এ ধরনের শাসকদের পরাজিত করতে হবে। আর সে জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য। আমাদের জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে, রাজনীতিক দলগুলো, বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী যারা আছেন তাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ শক্তির মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই, আমাদের ওপর অনেক অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন করেছেন, ২৬ লাখ মামলা হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে, এদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, গ্রামবাসী সব মিলিয়ে কয়েক কোটি মানুষ। সুতরাং, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব হবে না। কারণ আগামী শত বছরের জন্য জাতীয়তাবাদী দলকে এই সরকার অত্যাচার-নীপিড়ন করে প্রতিষ্ঠা করছে।
‘আজকের এই কর্মসূচি থেকে আমরা এটুকু অন্তত প্রতিশ্রুতি দেই যে আমরা পিছিয়ে থাকবো না, যতই অত্যাচার নির্যাতন নীপিড়ন হোক। ’
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, রিমান্ডের নামে অপরাধীকে অপরাধ স্বীকারে বাধ্য করা হয়। এমন নির্যাতন বন্ধ না হলে দেশ কোনোদিন সভ্য হবে না।
বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, যুগ্ম-মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নির্যাতিতদের মধ্যে কয়েকজন তাদের ওপর কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এমএইচ/এএ