সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। এ মানববন্ধনের আয়োজন করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ (অ্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে লুট করা যে অর্থ তা দিয়ে তারা তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করছে। এ বাজেটের নাম করে তারা ট্যাক্স আরোপ করছে, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিয়ে তারা তাদের লুণ্ঠনের সম্পদ বাড়াচ্ছে। বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ গরিব থেকে গরিব হচ্ছে এবং ধনী গরিবের ব্যবধান আরও বাড়ছে।
তিনি বলেন, বাজেটের মাধ্যমে তারা একদিকে যেমন জনগণের সম্পদ লুট করে নিচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সংকটে ফেলে দিচ্ছে। এই সরকার এক এক করে রাজনৈতিক, অর্থনীতিক, সামাজিক জীবনে এক ভয়াবহ সংকটের সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, আজকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে সবার চোখের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ধর্ষণ, লুট, অপহরণ করা হচ্ছে। কোথাও কোনো বিচার নেই, ব্যবস্থাও নেই।
মহাসচিব বলেন, যেভাবে আদালত, বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে, আদালতের অজুহাত দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। ঠিক একইভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে জনগণ উপরে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা এ সরকারের বিরোধিতা করছে। তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ২৬ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা আছে, মামলার সংখ্যা এক লাখেরও উপরে, দেড় হাজারের ওপরে মানুষকে গুম করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে।
এসময় অবিলম্বে এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/