সাক্ষী দেওয়ার সময় আদালতের কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন চন্দন শীল। এসময় সেই ভয়াল রাতের ঘটনা তুলে ধরেন আহত রতন, চন্দন শীল, খবির আহমেদ ও প্রত্যক্ষদর্শী রফিক।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শাহ মোহাম্মদ জাকির হাসান তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ নিয়ে সাতজন এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এরআগে ২০১৫ সালের ২ আগস্ট মামলার বাদী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আইনজীবী খোকন সাহা এবং ১৭ জুন এক আইনজীবী ও আইনজীবীর সহকারী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষী দেওয়ার সময় মামলার চার্জশিটভুক্ত ৬ জনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল ক্যাডার মমিনউল্লাহ ডেভিডের ভোট ভাই শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল ও জামিনে থাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এ মামলায় পলাতক রয়েছেন ওবায়দুল্লাহ রহমান। ভারতের নয়াদিল্লি কারাগারে আটক রয়েছেন সহোদর আনিসুল মোরসালিন ও মুহিবুল মুত্তাকিন। এ মামলার অন্যতম আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নানের একটি মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার সময় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সচিব চন্দন শীল, যুবলীগ কর্মী রতন দাস ও খবির আহমেদ আওয়ামী লীগ অফিসে ছিলেন। বোমা হামলা তাদের মধ্যে রতন ও চন্দন শীল পা হারান এবং সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, খবির আহমেদসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
তিনি আরও জানান, ২০০১ সালের ১৬ জুন ভয়াবহ বোমা হামলার ২০ জন নিহত হয়েছেন। এঘটনার পর দিন আওয়ামী লীগ নেতা খোকন সাহা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে একটি বিস্ফোরক ও অন্যটি হত্যা মামলা।
এ ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলায় আসামিদের বিচার দাবি করে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী দিয়েছেন। আদালত তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
ওএইচ/