বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত এক চিকিৎসক সমাবেশে ফখরুল এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, আজ মানুষের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকাট নেই। শাসক দলের যা ইচ্ছা তাই তারা করছেন। পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ২৬ বছর পর এই মামলায় নতুন করে চার্জশিট দিয়ে নতুন নতুন নাম দিয়ে সে মামলার রায় দেওয়া হলো। যেখানে ৯ জনকে ফাঁসির রায়ের পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায় প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। আমরা এ রায়ে শুধু হতাশ নই, বিক্ষুব্ধ।
তিনি বলেন, দেশে বড় বড় মেগা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করতে। এসব বড় প্রকল্প করা হচ্ছে বড় বড় চুরির জন্য। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ন্যূনতম লজ্জা বলে কিছু নেই। এক ডিআইজি দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেন, এক ওসি নিরীহ মেয়ের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেন। সবশেষ দেখলাম এক ওসি নর্তকীর সঙ্গে নির্লজ্জভাবে নাচানাচি করছে। তাদের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসায় সরকারও কিছু বলতে পারছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ মিডিয়ার স্বাধীনতা নেই, কথায় কথায় চাকরি চলে যায়। অথচ মিডিয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি প্রথম বিবিসি, সিএনএনসহ অনেক গণমাধ্যমের কাজের পরিধি প্রসার করে দেন এদেশে। যে নেত্রী সারাটা জীবন দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ করেছেন, আজ সেই নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। জামিনযোগ্য মামলায় সম্পূর্ণ অনৈতিক, অমানবিক এবং বেআইনিভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আমরা সরকারের দয়া চাই না, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। কিন্তু সরকার সেখানে বারবার হস্তক্ষেপ করছে। যেখানে (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী) মায়া, মহিউদ্দীন, নাজমুল হুদার জামিন হয়, সেখানে আপসহীন নেত্রীকে তারা মুক্তি দিতে চায় না।
ড্যাবের আহবায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ড্যাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ডা. হারন আল রশীদ, মহাসচিব ডা. আবদুস সালাম, সাবেক সভাপতি ডা. এ জেড এম জাহিদ, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মেহেদী হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জলাই ০৪, ২০১৯
ইএআর/এইচএ/