মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের স্বজনদের এ কথা জানিয়েছেন দলটির ৯ সদস্যের আইনজীবী।
তারা বলেছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশে তারা দণ্ডিতদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে তার বার্তাটি দিয়েছেন।
এসময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়লে তাদের আশ্বাস দেন আইনজীবীরা। তারা বলেন, এ মামলায় সব আসামিদের ওকালতনামা ইতোমধ্যে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির আইনজীবী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা, তাই মামলাটি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। বুধবার (১০ জুলাই) কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা আসবেন ঈশ্বরদীতে। আমরা তারেক রহমানের বার্তাটি পৌঁছে দিতে এসেছি।
৯ সদস্যের আইনজীবীরা হলেন- বিএনপির আইনজীবী পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান, ওবাইদুর রহমান চন্দন, অ্যাডভোকেট গোলাম আক্তার জাকির, নিপুন রায় চৌধুরী, ফারহানা আক্তার লুবনা, কাজী রওশন দিল আফরোজ, আরিফা সুলতানা রুমা ও মাসুদ খন্দকার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- পাবনা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল হক, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ নান্টু, পাবনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা, ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জুয়েল, ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ।
ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ২৫ জনের যাবজ্জীবন ও ১৩ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গত ৩ জুলাই (বুধবার) দুপুরে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় ৫২ জন আসামির মধ্যে একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তসহ ১৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন এবং পাঁচজন বিভিন্ন সময় মৃত্যুবরণ করেছেন। আসামিরা সবাই ঈশ্বরদী উপজেলা, পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
আরএ