বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বারিধারায় হোটেল এসকট মিলনায়তনে ‘ইয়াং লিডারস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম’ এর আওতায় বিভিন্ন দলের ৩০ জনের গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে সবাই একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, অবস্থান করেছেন, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এ ধরনের প্রোগ্রাম রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, রাজনীতিতে কিছু মত পার্থক্য থাকে। কিন্তু সেই মত পার্থক্য ভুলে দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাইকে এক হতে হবে।
তিনি বলেন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। নেতৃত্বের বিকাশ গঠনে রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষিত করে তুলছে। সেলিমা রহমান বলেন, বর্তমান সমাজে চরম অবক্ষয় বিরাজ করছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, অপরাধ করে পার পাওয়া যায়, এমন মানসিকতা থেকেই অপরাধ বাড়ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আশরাফ-উদ-দৌলা ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক প্রমুখ।
সারাদেশ থেকে আসা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার ৩০ জন তরুণ রাজনৈতিক নেতা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের তরুণ রাজনৈতিক বিকাশে ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় গ্রাজুয়েশন অর্জন করেন। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ফেলোশিপ কর্মসূচির ১২তম ব্যাচের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এ কর্মসূচির আওতায় রাজনৈতিক ফেলোরা ঢাকায় গত ৪ মাস যাবত আবাসিক প্রশিক্ষণ পর্বে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ইতিবাচক গণতন্ত্র চর্চায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা, দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র, ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট, গণমাধ্যমের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ অর্জন করেন।
২০১২ সাল থেকে জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ২৫০ এরও বেশি তরুণ নেতা রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশে ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় গ্রাজুয়েশন অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
টিএম/আরবি/