ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কমিটি ঠেকাতে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের রামদা শোডাউন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
কমিটি ঠেকাতে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের রামদা শোডাউন

ময়মনসিংহ: নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা দা-রামদা শোডাউন করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। 

অন্যদিকে ময়মনসিংহ মহানগরে শোডাউন করে গৌরীপুর উপজেলায় প্রবেশের সময় জ্বালানি না পাওয়ায় স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুর চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতারা।  

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্য করে নতুন কমিটি অনুমোদন করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম রকিব এবং সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. সব্যসাচী।

এর মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আল মুক্তাদির শাহীন ও ইমতিয়াজ সুলতান জনিকে। একই সঙ্গে আল হোসাইনকে সভাপতি এবং মোফাজ্জল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।  

তবে স্থানীয় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা ছাত্রলীগ অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠন করেছেন। নতুন এ কমিটিতে অযোগ্যদের স্থান দেওয়া হয়েছে।  

নতুন কমিটির নেতাদের উপজেলায় প্রবেশের খবরে পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধরা এদিন বিকেল থেকেই পৌর শহরের প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পদ বঞ্চিতরা সেখানে দা-রামদা নিয়ে শোডাউন করেন।  

আর নতুন কমিটির নেতারা উপজেলায় প্রবেশ করে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  

যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুলতান জনি বাংলানিউজকে বলেন, সাবেক কমিটির নেতারা প্রকাশ্যে দা-রামদা মিছিল করে উপজেলা সদরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন।  

‘এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ’ 

অবশ্য গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, কোনো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া বা দা-রামদা মিছিলের ঘটনা ঘটেনি। তবে দু’পক্ষের উত্তেজনা নিরসনে পুলিশ সক্রিয় ছিলো।  

পেট্রোল পাম্প ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, বাকিতে তেল (জ্বালানি) নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। মূলত নতুন কমিটির নেতারা পেট্রোল পাম্পে গিয়েছিলেন টাকা দিয়েই তেল আনতে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তেল নেই বলে জানালে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়ায়। এরপরও আমরা পেট্রোল পাম্প মালিককে অভিযোগ দিতে বলেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯ 
এমএএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।