ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোট ডাকাতি করে কীভাবে বলেন অবহেলা করেন না: মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
ভোট ডাকাতি করে কীভাবে বলেন অবহেলা করেন না: মোশাররফ সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘মানুষকে অবহেলা করে আওয়ামী লীগ দেশ চালায় না’ বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য সঠিক নয় দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি সরকারপ্রধানের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মানুষের অধিকার লুট করে কীভাবে দাবি করেন, আপনি মানুষকে অবহেলা করেন না?

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ড. মোশাররফ এ কথা বলেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বাজেটে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে।

গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। উন্নয়নের নামে জনগণকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে দেশের জনগণ মনে করছে না যে, তারা ভালো আছে। আর (প্রধানমন্ত্রী) আপনি বলছেন, আপনি তাদের অবহেলা করে রাজনীতি করেন না, মানুষের জন্য রাজনীতি করেন। এর থেকে আষাঢ়ে কল্পকাহিনী আর কিছু হতে পারে না।

‘গুম-হত্যা ধর্ষণের মতো মহামারি থেকে রক্ষা পেতে হলে’ এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার অস্বাভাবিক সরকার। তারা অস্বাভাবিভাবে দেশ চালাচ্ছে। অস্বাভাবিক সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। এ সরকারের হাত থেকে দেশ রক্ষা করে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যতোই দাবি করুন, তিনি জনগণের জন্য কাজ করছেন, সেটা সঠিক নয়। কারণ জনগণের জন্য কিছু করতে হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
 
রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করার আহবান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, রাষ্ট্রপতি যদিও আওয়ামী লীগের, তবু বলবো, জরুরিভাবে তিনি একটি জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে গুম-হত্যা ও ধর্ষণের মতো মহামারি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেন।

তিনি বলেন, সব সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি, কিন্তু পরিত্রাণ পেতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হবে। যারা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করে, তারা কখনো স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদের ছাড়তে বাধ্য করতে হয়। আমি মনে করি জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণই প্রস্তুতি নিচ্ছে, ইনশাল্লাহ এ দেশে গণতন্ত্র-মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে আমরা যে যেখানে আছি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

‘গুম-হত্যা-ধর্ষণের মহামারির কবলে বাংলাদেশ, আতঙ্কিত নাগরিক জীবন ও সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর।   

সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।