ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিদ্যুতের দাম বাড়ায় নিম্নমধ্যবিত্তদের ব্যয় বাড়বে ১০০০ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
বিদ্যুতের দাম বাড়ায় নিম্নমধ্যবিত্তদের ব্যয় বাড়বে ১০০০ টাকা বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ার গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে সামগ্রিকভাবে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে ব্যয় বাড়বে অন্তত এক হাজার টাকা।

রোববার (০১ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ার গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ বাড়বে দুশ’ টাকা।

পানির দাম বাড়বে ২৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারখানায় প্রতি মাসে দু’ হাজার টাকা বাড়বে। মাঝারি কারখানায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা ব্যয় বাড়বে। বড় কারখানাগুলোতে ৯ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ বাড়বে। এ টাকা কি মালিক দেবে? এ টাকা জনগণের পকেট থেকে নেবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যখন এক কাপ চা খাই তখন পয়সা ট্যাক্স দেই। এক কেজি চিনি কিনে ২১ থেকে ২৯ টাকা ট্যাক্স দেই। মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পিডিবি চলতে পারে। বিভিন্ন বিভাগ চলতে পারে। ফলে জনগণের বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ ও পানি দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, যদি দূর্নীতি, ঘুষ, লুটপাট বন্ধ করা যায় তাহলে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয় না; বরং কমানো যায়। আমরা ২০১৭ সালে হিসাব করে দেখেছি। এবার আবারও হিসাব করে দেখিয়েছি, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন নাই। তবু লুটেরা সরকার উন্নয়নের কথা বলে জনগণের পকেট কাটছে।

গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার দেশের বিরুদ্ধে, দেশের জনগণের বিরুদ্ধে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তারা বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বছরে বছরে বাড়াচ্ছে। আবার নানা পাঁয়তারা করছে। একক সিদ্ধান্তে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি যদি বিদ্যুৎ বিভাগের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো যায় তাহলে বছরে সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তারা বলছে প্রতিবছর পাঁচ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। অবিলম্বে বিদ্যুৎ ও পানির দাম প্রত্যাহার করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ সরকার ১১ বছরের মাথায় আটবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের দামের প্রভাব সব পণ্যের ওপর পড়বে। নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়বে।

তারা বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য গণশুনানি হয়েছিল।  আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু তারা কথা শোনেনি।

এসময় আরও বক্তব্য দেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, শহিদুল ইসলাম, হামিদুল হক, মানস নন্দী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
পিএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।