ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার ভাইয়ের আবেদনের বিষয়ে জানেন না মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
খালেদার ভাইয়ের আবেদনের বিষয়ে জানেন না মির্জা ফখরুল

ঢাকা: খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যে আবেদন করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানেন না বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি ঠিক বলতে পারবো না। এটা পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এতে কী আছে আমি জানি না।

সরকারের পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হলে আপনারা প্যারোলের আবেদন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আগেও বলেছি এটা তার (খালেদা জিয়া) ব্যক্তিগত ও পরিবারের ব্যাপার।

রোববার (৮ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শের-ই-বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।



জিকে শামীমের জামিনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অনেক দিন থেকে বলে আসছি এই রাষ্ট্রটি একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান এখন জবাবদিহিতার কোনো জায়গায় নেই। এ কারণে একজন কুখ্যাত আসামি যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল যার কাছে বেআইনীভাবে কোটি কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে অথচ রাষ্ট্র জানে না। এতে প্রমাণিত হয়েছে এই রাষ্ট্রটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেছে।  

‘একই সঙ্গে এটা প্রমাণিত হয়েছে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে এভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে, অথচ খালেদা জিয়া জেনুইনলি জামিন পান না। এতে প্রমাণিত হয় দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। ’
 
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান এখন ড্যামেজ হয়ে গেছে। এর জন্য দায়ী এই সরকার। যেহেতু এই সরকার জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব করে না, যেহেতু জনগণ তাদের সঙ্গে নেই, সেজন্য স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাতে গিয়ে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলেছে। রাজনৈতিক স্বার্থে যখন তাদের প্রয়োজন হয় তখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এটর্নি জেনারেল দাঁড়ান। আর তাদের লোকজন, যারা চুরি করে ডাকাতি করেন তাদের জামিনে বাধা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।
 
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল মিলন, সদস্য সচিব কাজী সাইয়েদুল হক বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, গাজীপুর জেলার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, হুমায়ুন কবির খান, শাহ রেজাউল হান্নান, সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, রাশেদুল হক প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।