ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ মে ২০২৫, ২৩ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

আম্পানে আশঙ্কার তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৫, মে ২১, ২০২০
আম্পানে আশঙ্কার তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে: কাদের

ঢাকা: সুপার সাইক্লোন আম্পানে আশঙ্কার তুলনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের আগাম প্রস্তুতির জন্য ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আবারও শেখ হাসিনার সরকার দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে আশঙ্কার তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে।

দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও বেড়িবাঁধ মেরামতসহ পুনর্বাসনের জন্য এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিওবার্তায় এ বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সুপার সাইক্লোন আম্পান এরই মধ্যে বেশকটি জেলায় আঘাত হেনেছে। ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক না হলেও একেবারে কম হয়নি। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী যশোর, হাতিয়াসহ বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, ঘরবাড়ি ভেঙে, বেড়িবাঁধের ক্ষতিসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় প্রাণহানিও ঘটেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আবারও শেখ হাসিনার সরকার দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে আশঙ্কার তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি অনেক কম হয়েছে। সরকার দুর্যোগের আগের ও পরের পুনর্বাসন প্রস্তুতি যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঝড়ের আগে জেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। দুর্যোগের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বেড়িবাঁধ মেরামতসহ সার্বিক পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন। পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনীতে মানুষের দোয়া এবং শেখ হাসিনা সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি আমাদের এ ঘূর্ণিঝড় হতে উত্তরণে সহায়তা করেছে। এর পাশাপাশি সুন্দরবন সুরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করেছে।

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে কাদের বলেন, কিছুদিন ধরে আমাদের অসাবধানতা অসচেতনতার কারণে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। যারা শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছেন না, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অহেতুক যেখানে সেখানে সমাগম করছেন, তারা জেনেশুনেই সংক্রমণ ও মৃত্যুকে ডেকে আনছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এসকে/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।