ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সুবেশী ওবায়দুল কাদের এক সময় নাটক করতেন: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২০
সুবেশী ওবায়দুল কাদের এক সময় নাটক করতেন: ফখরুল

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুন্দর আসনে বসে সুন্দর পোশাক পরে শুধু বিএনপির সমালোচনা করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রত্যেকদিন কথা বলেন।

তিনি অত্যন্ত সুবেশী মানুষ। চমৎকার একটা ঘরের মধ্যে, চমৎকার একটা আসনে বসে খুব সুন্দর করে কথা বলেন। আমি শুনেছি তিনি ছাত্র জীবনে নাটক করতেন। আমিও নাটক করেছি। উনি সুন্দর করেই বলেন। একটাই বক্তব্য, প্রতিপাদ্য একটাই, বিএনপির এই নাই, বিএনপির ওই নাই, এসব বলেন। ”

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি তো উনাদের কাছে নাই, উনারা বলছেন বিএনপি নাকি সংকটে পড়েছে, বিএনপিতে অন্ধকার। তাহলে মুখে সারাক্ষণ বিএনপি কেনো? আমার প্রশ্ন ওই জায়গায়। আপনার মু্খে এতো আলোচনা কেনো বিএনপির? কারণ আপনারা জানেন যে বিএনপি হচ্ছে একমাত্র দল, যে দলটি গণতন্ত্র আনতে পারে, অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে। আপনারা যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন তার অবসান করতে পারে। ”

তিনি বলেন, “আজকে সরকার কাদের স্বার্থ রক্ষা করছে? দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বি হয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম তিন-চারগুন-পাঁচ গুণ হয়ে গেছে। কাদের জন্যে? তাদের লুটপাটের জন্যে। তারা সিন্ডিকেট তৈরি করছে, সিন্ডিকেট তৈরি করে তারা সব মুনাফা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। ”

তিনি বলেন, “আপনারা বেতন বাড়াচ্ছেন কাদের? সরকারি কর্মকর্তাদের। তিনগুণ-চারগুণ বেতন বাড়িয়েছেন। আমার কৃষক ভাইয়ের কী আয় বেড়েছে, শ্রমিক ভাইয়ের কী আয় বেড়েছে, আমাদের যারা ক্ষুদে ব্যবসায়ী তাদের কী আয় বেড়েছে? এই করোনাতে তারা প্রায় নিঃস্ব অবস্থা হয়ে গেছে। বহু মানুষ আছে যারা দুই বেলা খেতে পায় না। আজকে সেই অবস্থা আপনারা তৈরি করেছেন। আপনারা এখানকার মানুষগুলোকে জিম্মি করে ফেলেছেন এবং তাদের আপনারাই অন্ধকারের দিকে ঠে্লে দিচ্ছেন। ”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে আমাদের দলের ৩৫ লাখ মানু্ষের বিরুদ্ধে একলাখ মামলা হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মী গুম করে দিয়েছেন, হত্যা করেছেন তারপরেও কিন্তু বিএনপি থেকে একটা লোককেও টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। বিএনপির এই জায়গায় পৌঁছানো এর পেছনে তরিকুল ইসলাম সাহেবদের অবদান আছে। আজকে যে সংকট এই সংকট আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে। তারা তাদের একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করবার জন্যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দি্য়েছে এবং মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার সেটা পর্যন্ত তারা লুটে নিয়েছে। ”

২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর অ্যাপেলো হাসপাতা্লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় আলোচনাসভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, অমলেন্দু দাস অপু, অঙ্গসংগঠনের মোস্তাফিজরুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, হাফিজুর রহমান, আমিনুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আলোচনা সভায় বিএনপির হাবিব উন নবী খান সোহেল, মোশাররফ হোসেন, সেলিমুজ্জমান সেলিম, হারুনুর রশীদ, অপর্না রায়, নেওয়াজ হালিমা আরলি, ফরিদা ইয়াসমীন, তাইফুল ইসলাম টিপু, প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব, নিপুণ রায় চৌধুরী, মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, খান রবিউল ইসলাম রবি, নাজিউদ্দিন মাস্টার, সাবেরা ইসলাম মুন্নী, শেখ রবিউল আলম, আমিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, নুরুল হুদা নুরু, প্রয়াত নেতার ছোট ছেলে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
এমএইচ/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।