ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় সরকার অনিবার্য: রব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২০
রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় সরকার অনিবার্য: রব

ঢাকা: জেএসডি সভাপতি আ স ম রব বলেছেন, ব্যক্তি ও দলীয় ক্ষুদ্র স্বার্থে রাষ্ট্রকে জিম্মি করে সরকার জাতীয় স্বার্থবিরোধী এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে; ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে এক সর্বনাশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আইনগত ও নৈতিকভাবে ধ্বংসের শেষ সীমায় নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে।

শনিবার (৭ নভেম্বর) ঐতিহাসিক ‘সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আ স ম আবদুর রব বলেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও পুননির্মাণসহ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্র মেরামতের প্রয়োজনে জাতীয় সরকার গঠন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। কোনো একক বা দলীয় সরকার বিদ্যমান দুর্বৃত্তপূর্ণ রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না। সেজন্য রাজনৈতিক দল, সমাজ শক্তি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, মেধা ও প্রযুক্তির অধিকারী অংশীজনদের কার্যকর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় গভীর সংকটে মৌলিক করণীয় উপেক্ষা করে শুধু রাষ্ট্রক্ষমতা দখল কোনো লক্ষ্য হতে পারে না। ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল সংস্কার, নিপীড়নমূলক আইন বাতিল, দুর্নীতি প্রতিরোধ, সর্বোপরি স্বাধীন দেশের উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামত করা এই মুহূর্তের মৌলিক কর্তব্য।  

রব আরও বলেন, ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫ সালেও রাষ্ট্রীয় চরম অনিশ্চয়তা, বিশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক শূন্যতার সংকট নিরসন, ঔপনিবেশিক ধাঁচের প্রশাসন এবং  সেনাবাহিনীর আমূল সংস্কারের দাবিতে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করে আমরা জাতীয় সরকারের দাবি উত্থাপন করে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলাম। কিন্তু এই মৌলিক দাবি উপেক্ষা করায় পরবর্তীতে ক্রমাগত রাষ্ট্রীয় সংকট আরও গভীরতর হয়েছে।

আলোচনা সভায় বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা তথা শোষণ মুক্তির লড়াইকে বেগবান করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা রেখে যেতে হবে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা সংঘটিত হয়েছিল ৭ নভেম্বর। এ রাজনীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

সভায় শামসুদ্দিন আহমদ পেয়ারা ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ঘটনাবলীর স্মৃতিচারণ করেন।

জেএসডি সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, জনগণের অংশীদারিত্বমূলক একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণই ছিল ৭ নভেম্বরের সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা। জাতির সে আকাঙ্ক্ষা আজও পূরণ হয়নি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সা কা ম আনিসুর রহমান খান, মো. সিরাজ মিয়া, বোরহান উদ্দিন রোমান, ব্যারিস্টার ফারাহ খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।