ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণতন্ত্র কি মুক্তি পেয়েছে প্রশ্ন জি এম কাদেরের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
গণতন্ত্র কি মুক্তি পেয়েছে প্রশ্ন জি এম কাদেরের

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, যে আশা নিয়ে নূর হোসেন আত্মদান করেছে, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।  

তিনি বলেন, নূর হোসেন হয়তো চেয়েছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলের গণতন্ত্রের চেয়ে আরও ভালো গণতন্ত্র পাবে দেশ এ আশায় বুকে ও পিঠে লিখেছিল- “স্বৈরচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক”।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রশ্ন রেখে বলেন, গণতন্ত্র কি মুক্তি পেয়েছে? 

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাপার বনানী কার্যালয়ে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

জি এম কাদের বলেন, তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কিন্তু ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংসদীয় পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।

তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ ধারা সংসদীয় পদ্ধতির মূল স্বাদ নষ্ট করেছে। ৭০ ধারা অনুযায়ী সরকার দলীয় সদস্যরা সরকারি দলের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যে দল সরকার গঠন করে, সেই দলের প্রধানই সংসদীয় দলের নেতা এবং সরকার প্রধান হন। সরকার প্রধান যে সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই বাস্তবায়ন হয়। এতে এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। ফলে, স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক না হয়ে স্বৈরতন্ত্র মুক্তি পাক ও গণতন্ত্র নিপাত যাক হয়ে দাঁড়িয়েছে কিনা এমন প্রশ্নও রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ পেতে হলে সংবিধান থেকে ৭০ ধারা তুলে দিতে হবে। সংসদীয় পদ্ধতিতে সংসদের কাছে সরকার ও সরকার প্রধানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে সংসদ। কিন্তু ৭০ ধারার কারণে উল্টো হয়েছে, সরকারই সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।  

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের তন্ত্র। এতে জনগণের শাসন নিশ্চিত হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশের মানুষ কখনো ভুল করে না। দেশের মানুষ কখনো ভুল মানুষকে নির্বাচিত করেনি। প্রকৃত গণতন্ত্র নিশ্চিত হলে রাষ্ট্রের সব স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে দেশে সুশাসন নিশ্চিত হবে যাতে সামাজিক ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।  
 
গণতন্ত্র দিবসের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, গণতন্ত্র আজ সোনার হরিণ, গণতন্ত্র আজ খাঁচায় বন্দি।  

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিই পারবে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে।  
 
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পাটির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এ টি ইউ তাজ রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০ 
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।