ঢাকা: নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর করা মামলায় ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল আনামকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দারুস সালাম থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে দারুস সালাম থানাধীন মাজার রোডের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আসামি মাজাহারুল আনামকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মাজাহারুল আনামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী ফিরোজা পারভীন। অন্য আসামিরা হলেন— কামরুল ইসলাম, মাকসুদ আনাম, মিলি, ফুয়াদ, সাগর সরকার ও নাজমা আক্তার মুন্নি।
মামলার এজাহারে স্বামীকে লম্পট ও চরিত্রহীন উল্লেখ করে ফিরোজা পারভীন বলেন, ২০০৮ সালে মাজাহারুল আনামের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের ১১ বছর বয়সী এক ছেলে আছে। তাদের ছেলে শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
বিয়ের পর ব্যবসার কথা বলে মাজাহারুল আনাম ফিরোজা পারভীনের পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা এনেছিলেন। সম্প্রতি আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছিলেন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, যৌতুকের জন্য গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ফিরোজা পারভীনকে মারধর করা হয়। পরবর্তী সময়ে ফিরোজা পারভীনের ভাই ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করান। আপসের উদ্দেশ্যে গত ২৫ জানুয়ারি মাজাহারুল আনামের বাসায় যান ফিরোজা।
যৌতুকের টাকা না নিয়ে বাসায় ঢোকায় মাজাহারুল আনাম চুলের মুঠি ধরে ফিরোজাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারেন। বাঁশের লাঠি দিয়েও আঘাত করেন তিনি। এ সময় অন্যান্য আসামিরা ফিরোজাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন এবং তার প্রতিবন্ধী সন্তানকেও মারধর করেন। এছাড়াও মামলার প্রধান আসামি মাজাহারুল আনাম তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখে বালিশ চাপা দেন।
পরে ফিরোজার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান। ফিরোজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
পিএম/এমজেএফ