ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জন্মদিনে ফখরুলকে নিয়ে মেয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
জন্মদিনে ফখরুলকে নিয়ে মেয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বড় মেয়ে শামারূহ মির্জা ফেসবুকে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, লুটপাট আর হত্যাই বাংলাদেশের একমাত্র পরিণতি হতে পারে না।

বাংলাদেশ একদিন অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। লুটেরাদের বিপক্ষে, সাধারণ বঞ্চিত, অবহেলিত মানুষের পক্ষে প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের সরকার। শুধু বাংলাদেশ স্বাধীন হলে চলবে না, বাংলাদেশের মানুষকেও স্বাধীন হতে হবে!

মির্জা ফখরুল ও মেয়ে ড. শামারূহ মির্জার দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আমরা দুই বোন যখন ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা চাকরি ছেড়ে, পুরো পরিবারকে ঢাকায় ফেলে ঠাকুরগাঁওয়ে চলে যান। এক-দুই দিন না, বছরের পর বছর আমরা বড় হয়েছিলাম বাবাকে কাছে না পেয়ে, কারণ তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করবেন।

খুব কঠিন ছিল আমাদের বড়ো হওয়া। আমরা কষ্ট পেয়েছি, বিরক্ত হয়েছি, কিন্তু আমার বাবাকে কোনো দিন নিরাশ হতে দেখিনি। ৩০ বছর পেরিয়ে গেল, আমরা টুক টুক করে বড় হলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি, পিএইচডি করেছি। চষে বেরিয়েছি পৃথিবী। প্রায়ই ভাবি, আমার বাবাও শিক্ষক ছিলেন, তার জন্যও আমার এই জীবনটা সম্ভব ছিল। কিন্তু তিনি কঠিনকে ভালবেসেছিলেন আপনাদের জন্য। সত্যিই বলছি আপনাদের জন্য। মির্জা আলমগীর এই ৭৩ বছরেও হতোদ্যম হননি।

আজকে এই জেলে তো কালকে ওই কোর্টে। শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না। আমি তার মেয়ে-আমার দুঃশ্চিন্তার কোনও শেষ নেই। জিজ্ঞেস করলেই আব্বু বলেন, লড়াই আমাদের করতেই হবে শেষ পর্যন্ত। মির্জা আলমগীর বাসায় আমাদের যা বলেন, যে ভাষায় বলেন, আপনাদেরও ঠিক তাই বলেন- মন থেকে বলেন। তার চেহারা সর্বত্র একটাই।

মির্জা আলমগীর প্রতিশোধের জন্য রাজনীতি করেননি। তিনি শুধু একটাই জিনিস চেয়েছেন সারাজীবন- গণতন্ত্র, সাধারণ মানুষের উন্নতির রাজনীতি।

বাংলাদেশের আজকের পরিস্থিতিটা খুবই সহজ আসলে, আপনি যদি চিন্তা করেন। হয় আপনি সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের পক্ষে, না হলে আপনি শহরের কিছু কোটিপতির আরও বড়লোক হওয়ার পক্ষে। হয় আপনি ইনসাফের পক্ষে, না হয় আপনি বিনা বিচারে মানুষকে হত্যার পক্ষে, রামদা আর হাতুড়ির পক্ষে।

ক্লিশে মনে হতে পারে কিন্তু আব্বুর সারাজীবন না হলেও অন্তত আমার সারাটা জীবন তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্যেই দিয়েছেন। আজকে তার প্রয়োজন আপনাদের। আপনারা কেন ধরেই নিয়েছেন যে- লুটপাট আর হত্যাই বাংলাদেশের একমাত্র পরিণতি।

আপনারা কি স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছেন? মানুষটা তার যৌবন দিয়েছেন এই দেশের সাধারণ মানুষের জন্য, এই শেষ বয়সে এসে ক্ষমতাধর আর লুটেরাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন।

আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। মির্জা আলমগীর সাহেবের সারাজীবনের রাজনীতি বৃথা যাবে না। আপনি আর আমি এই ঘুরে দাঁড়ানোর রাজনীতির অংশ হবো। আমরা আমাদের সন্তানদের এমন বাংলাদেশ দিয়ে যাব, যেন তারা গর্ববোধ করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।