ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন্য পদে ঘোষিত নতুন ৬৮ জনের মধ্যেও বিতর্কিতরা রয়েছেন বলে দাবি করেছেন শোভন-রাব্বানীর কমিটিতে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের কয়েকজন নেতা।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সি। এসময় উপস্থিত ছিলেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত দপ্তর। সম্পাদক আহসান হাবীব।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শোভন-রাব্বানী পদত্যাগ করার পর জয় ও লেখক ছাত্রলীগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নিয়ে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ২১ জনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। এরপর আমরা তাদের কাছে একাধিক বার কারণ জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তা জানাতে পারেনি।
নতুন সম্মেলন চেয়ে বলা হয়, জয় ও লেখক স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়ন, তৃণমূলে সম্মেলন দিতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। আপনারা দায়িত্ব পালনে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। ইতোমধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে ৩০তম সম্মেলন দিয়ে সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে সব স্থবিরতা ও অচলায়তন ভাঙার দাবি জানাচ্ছি।
নতুন পদপ্রাপ্তদের নিয়ে বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি ৬৮ জনকে পদায়ন করা হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ার এবং কিসের ভিত্তিতে এসব পদায়ন করা হয়েছে তার ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে অনেকেই মাদকাসক্ত, বয়স বেশি, বিবাহিত, চাকরিজীবী মামলার আসামিসহ গঠনতন্ত্র বিরোধী অনেকেই রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
এসকেবি/আরএ