ঢাকা: দেশের জনগণ এই সরকারকে তাদের সরকার মানে না দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণ এই সরকারকে নির্বাচিত করেনি। তারা ভোটই দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমরা এক নির্বাচনে দেখলাম যে, অর্ধেকের বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। তার মানে জনগণের ভোট দেওয়ারই দরকার হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হল রুমে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান এএইচএম কামরুজ্জামান খানের স্মরণে মুসলিম লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, আজকে দেশে নির্বাচনের নামে যে খেলা চলছে, যে প্রহসন চলছে, যে নোংরামি চলছে তার ফলে এ দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত গৌরবান্বিত হওয়ার কথা সেরকম কোনো প্রতিষ্ঠানই আজ আর গৌরবান্বিত নয়।
তিনি আরও বলেন, শুধু দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এই ব্যাপারে অভিযোগ-আপত্তি, প্রতিবাদ করছে না, বিশিষ্ট নাগরিকরা পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। মার্কিন সিনেট, মার্কিন কংগ্রেস, বৃটিশ কমন্স সভা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্নালিস্ট উইথআউট বর্ডার— এ ধরনের সব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, যারা সারা দুনিয়ায় গণতন্ত্রের বিকাশ বা গণতন্ত্রের অবস্থান নিয়ে কাজ করে তারা সবাই এই সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়ে আসছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামের নির্বাচনের পরে পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা মার্কিন কংগ্রেসের যে হিউম্যান রাইটস বা ডেমোক্রেসির ব্যাপারে যে কমিটি আছে সেই কমিটিতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে আসলে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। এর ফলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে গেলে এটা আলটিমেটলি সারা দুনিয়ার জন্য সংকটের সৃষ্টি করবে।
মুসলিম লীগের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, কল্যাণ পার্টির মাহমুদ খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, মুসলিম লীগের কাজী আবুল খায়ের, আতিকুল ইসলাম, আজিজুর রহমান লিটন, সারওয়ার-ই-আলম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ি, মো. শহীদুল্লাহ ফকির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ