ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ইতিহাস ভুলে যাওয়া জাতির জন্য কল্যাণকর নয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১
‘ইতিহাস ভুলে যাওয়া জাতির জন্য কল্যাণকর নয়’ বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভা

ঢাকা: আমরা অনেকেই ইতিহাস ভুলে যাই, ইতিহাস মুছে ফেলে বর্তমানকে নিয়ে মশগুল থাকতে পছন্দ করি, যা জাতির জন্য কল্যাণকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।  

তিনি বলেন, ইতিহাসে যার যেটুকু ভূমিকা, স্বীকার না করলে একদিন ইতিহাসই মুখ ফিরিয়ে নেবে।

ইতোমধ্যে নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করেছিলেন। এরমধ্যে তার অবিস্মরণীয় কীর্তি এবং উপমহাদেশের তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হচ্ছে ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলন’। উপমহাদেশ ও পূর্ব বাংলা তথা আজকের বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর তাৎপর্য অনাগত কালের গবেষকদের কাছে স্বীকৃত।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, কাগমারী সম্মেলন থেকেই মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এই সম্মেলনেই মওলানা ভাসানী পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ জানিয়েছিলেন। একটি নিরীহ ধর্মীয় সম্বোধন মওলানা ভাসানীর ‘আসসালামু আলাইকুম' শব্দটি স্বাধীনতার সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

তিনি বলেন, ভাবতে অবাক লাগে, এই বাংলাদেশেই ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টাঙ্গাইলের কাগমারীতে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগের সম্মেলন সামনে রেখে একটি আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন ও স্বাধীকার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিল।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১
এমএইচ/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।