ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কোম্পানীগঞ্জে শনিবার হরতাল ডাকলেন আবদুল কাদের মির্জা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
কোম্পানীগঞ্জে শনিবার হরতাল ডাকলেন আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।  

দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গুলির প্রতিবাদে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় বসুরহাট পৌরসভার হলরুম থেকে এ হরতালের ডাক দেন তিনি।

এসময় তিনি দাবি করেন, হামলাকারীরা এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারীর লোক।

উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক তানভির হরতাল ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, হরতালে উপজেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ওই সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক চরফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ (২৫) চারজন।

এ অবস্থায় প্রথমে মুজাক্কিরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বাকি গুলিবিদ্ধরা হলেন-উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০) ও বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।

গুরুতর আহতরা হলেন- চরফকিরা ইউনিয়নের মো. কাঞ্চন (৬০), মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (৩০), চরফকিরা ইউনিযনের আবদুল মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৪০), বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৪) ও মারুফ (২৫)।

স্থানীয়রা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিলে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর জের ধরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করেন যে আবদুল কাদের তার ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এ অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন বাদল।  

পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আবদুল কাদের মির্জা এলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন দু’পক্ষের অন্তত ৩০ জন। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।