ঢাকা: দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। একদলীয় শাসনের যাঁতাকলে দেশের গণতন্ত্র পিষ্ট।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘একুশের চেতনায় স্বৈরচার পতন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক এক সভার আয়োজন করে জাগপা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন ধ্বংস করা হচ্ছে দেখে কষ্ট হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট হতে দেখে খারাপ লাগে। গণতন্ত্র, সাম্য, বৈষম্য, শান্তি, শৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে। এগুলো আবার একুশের মতো বুকের তাজা রক্ত দিয়ে উদ্ধার করতে একুশ আমাদের আহ্বান জানান।
জিয়াউর রহমানের খেতার বাতিল নিয়ে তিনি বলেন, এখন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলে (জামুকা) বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জিয়ার খেতাব বাতিলের। এটা কি তাদের কাজ নাকি। খেতাব তো তারা দেয় না। এটা তো তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত। সেখানকার নথিতেও তো ‘খেতাব’ শব্দটা নেই। তাহলে সেখান থেকে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া হয়। তার নামে তো আদালতে কোনো রায় নেই, নির্দেশনাও নেই। তাহলে সেখানে কিভাবে তাকে নিয়ে আলোচনা করা হয়। আপনারা তার খেতাব কেড়ে নেন, তার থেকে বড় বীর মুক্তিযোদ্ধা কে? স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে সব থেকে বড় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তিনি। তারই যদি খেতাব না থাকে তবে, আর কার খেতাব থাকবে!
তিনি বলেন, আমরাও একটা সুষ্ঠ নির্বাচন চাই। দল নিরপেক্ষতায় যতক্ষণ নির্বাচন না হবে, ততক্ষণ সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়। আর এমন একটা নির্বাচন কমিশন থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন কখনোই হবে না। এখন যে আল-জাজিরায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, তারপর তো ডয়চে ভেলে, দ্য ইকোনোমিস্ট কত রিপোর্ট দিচ্ছে, সেগুলোর কি হবে!
সভাপতির বক্তব্যে জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমান বলেন, একুশের চেতনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই স্বৈরতন্ত্রের পতন নিশ্চিত করতে হবে অতিসত্ত্বর।
সভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার সাধারণ সম্পাদক এসএম সাহাদাত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এইচএমএস/এএটি