ঢাকা: বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুনর্বিচারের উদ্যোগ নেবে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে এ ঘটনার নেপথ্যের নায়করা রেহাই পাবেন না।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখান সদর দফতরে সেনা হত্যা দিবসটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হলে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোকদিবস হিসেবে ঘোষণা করবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখি, দীর্ঘ এক যুগ পেরিয়ে গেলেও জবাব মেলেনি এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের। গত ১২ বছর যাবত প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি সেনা হত্যাযজ্ঞের দিনটি কিছু সাধারণ কর্মসূচির মাধ্যমে পার হয়ে যায়। এই হত্যাকাণ্ডের যে তদন্তগুলো হয়েছিল, এর পূর্ণাঙ্গ কোনো তদন্ত এখনো জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়নি। বিশেষ করে সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল, সেই তদন্ত এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ফলে, স্বাভাবিকভাবে জাতির সামনে প্রশ্ন থেকেই গেছে এই ভয়াবহ রক্তাক্ত ঘটনার পেছনে মূল কারা ছিল, পরিকল্পনাকারী কারা ছিল, কারা লাভবান হয়েছে ?
রিজভী বলেন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খুলনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের সমাবেশের প্রস্তুতির প্রাক্কালে ব্যাপকভাবে খুলনা মহানগরীতে পুলিশী হামলা ও হয়রানি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে যুবদল নেতা সুমন, সিরাজুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, খায়রুজ্জামান টুকু, হারুন মোল্লা, বিএনপি নেতা শাহজাহান শেখ, জাহিদুল ইসলাম, তাঁতী দল নেতা মাসুম, ছাত্রদল নেতা শামীম আশরাফ, আসাদুজ্জামান আসাদ, বাবুলসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমি পুলিশি হামলা ও নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
এমএইচ/এএটি