ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে কারাগারে আটক অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের গায়েবানা জানাজাপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
যারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ।
সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৯ মাস জেলে রাখা হয়। ছয় বার তার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। মুশতাকের খুনের দায় ভোটবিহীন এই সরকারেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু অন্যায় হচ্ছে সব দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে। এই হত্যার দায়ও প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য, ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য এবং নিজেদের বাঁচাতে। এই আইন মানুষের টুটি চেপে ধরেছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র আর জনগণের নেই। রাষ্ট্রকে তারা খুনি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সবাইকে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
পিএস/এমজেএফ