ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক ...

ঢাকা: খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফএম সিদ্দিকী বলেছেন, এ পর্যন্ত ম্যাডামের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। উনি যথেষ্ট ভালো আছেন।

আমরা আশা করছি, যদি এভাবে আরও এক সপ্তাহ পার হওয়া যায় তাহলে ইনশাআল্লাহ তিনি বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন।   

সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে তাকে দেখার পর সন্ধ্যা ৬টায় বাসার সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এফএম সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, আমরা ম্যাডামের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তার সমস্ত রিপোর্ট ইভ্যালুয়েট করেছি। আপনারা জানেন উনি করোনা পজিটিভ হয়েছেন। উনার কোনো সিমটম ছিল না। এখনও সুস্থ আছেন। কিন্তু যেহেতু উনার বাসার কেয়ারটেকারসহ অন্য সবাই আক্রান্ত হয়েছে তখন স্বাভাবিকভাবে  আমরা সাবধানতার জন্য টেস্ট করেছি। পরে পজিটিভ এসেছে। রিপোর্ট দেখে তাৎক্ষণিকভাবে একটা বেজলাইন তৈরি করেছি। সেটা হলো কোভিড হলে আমরা চার ভাগে ভাগ করি। মাইল্ড, মডারেট, সিভিআর ও ক্রিটিকাল। আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে থাকি আমাদের কোভিড রোগী কোন স্তরে আছেন। যদি মাইল্ড ফর্মে থাকে তাহলে মাইল্ড ফর্মে যে ইনভেস্টিগেশন ও চিকিৎসা সেটা আমরা শুরু করে দিই এবং সেটা তাৎক্ষণিক শুরু করে দিয়েছি। অর্থাৎ রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওনার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা শুরু করা হয়ে গেছে। আমরা প্রতিদিন নিবিড়ভাবে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রতি রাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম সেই পর্যবেক্ষণ একসঙ্গে রিভিউ করছি।

‘আমরা সবাই উনাকে এখন দেখে এসেছি। আমরা দেখতে পেয়েছি উনি এখনও খুব ভালো আছেন। এখন পর্যন্ত উনার কোনো টেম্পারেচার নেই, খাওয়ার রুচি ঠিক আছে, ঘ্রান পাচ্ছেন। এমনকি স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়নি। উনি বলছিলেন যে, আমার বাসার অন্যরা যদি পজিটিভ না হতো এবং আমার টেস্ট করা না হতো, আমিতো জানতামই না। ’

তিনি বলেন, কোভিডের প্রথম সপ্তাহ হলো ভাইরাল অ্যাপলিকেশন সপ্তাহ। দ্বিতীয় সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। প্রজেকশন দেখলে বোঝা যায় প্রথম সপ্তাহের পর দ্বিতীয় সপ্তাহ কেমন হবে। এটা ফিজিকাল বোঝা যায় এবং বায়োকেমিস্ট টেস্ট করলেও বোঝা যায়। আমরা উনার সমস্ত বায়োকেমিক টেস্টগুলো করেছি। আবার কালকে রিপিট করবো। প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় আমরা উনার বায়োকেমিক টেস্টগুলো করবো। এখন পর্যন্ত উনি সবদিক দিয়ে ভালো আছেন। উনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। উনি বলেছেন, দেশের সবাই যেন সাবধানে থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে।

হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে, আমরা যদি কখনও মনে করি, বিন্দুমাত্র আমাদের বলা হয়, উনাকে হাসপাতালে নেওয়া দরকার, সেভাবে উনাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাব। সে ধরনের প্রস্তুতি আছে।

তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে অনলাইনে অনেক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইউকেতে (যুক্তরাজ্য) উনার ছেলে এবং তার স্ত্রী আছেন। ছেলের স্ত্রী ডা. জোবাইদা সবসময় মোটিভেট করছেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আব্দুস শাকুর, ডা. আল মামুন ও শায়রুল কবির খান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
এমএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।