ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দানবের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে। বর্তমান ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে আমরা সবাইই ব্যর্থ হয়েছি। গত ৫০ বছরে ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমরা যা অর্জন করেছিলাম তার সবকিছু সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত ‘করোনা মোকাবিলায়: স্থানীয় সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
সভাপতির বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব বলেন, করোনা মোকাবিলায় জনগণকে সম্পৃক্ত ও জাতীয় ঐক্য স্থাপনের লক্ষ্যে বিদ্যমান মডেল পরিবর্তন করে নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। করোনার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ মোকাবিলায় ৫টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে: (১) করোনা মোকাবিলায় বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রতিরোধ ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ; (২) স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে জনগণকে সম্পৃক্তকরণ; (৩) দারিদ্র্যসীমার নিচে প্রায় ৫ কোটি জনগণকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণ; (৪) স্থানীয় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সকল পর্যায়ে জাতীয় ঐক্য স্থাপন; এবং (৫) হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের লক্ষ্যে টিকার বিকল্প উৎসের সন্ধানসহ জাতীয় পর্যায়ে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, করোনার ভয়াল থাবায় ইতোমধ্যে প্রায় ৫ কোটি জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে এসে পড়েছে। এই বিরাট জনগোষ্ঠীর খাদ্য সংস্থান এবং অর্থনৈতিক পুনর্বাসন ব্যবস্থার আওতাধীন না করে কোনভাবেই করোনা মোকাবিলা করার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। নিরন্ন মানুষকে সুরক্ষা বেষ্টনির বাইরে রেখে অপরিকল্পিত লকডাউন, কঠোর লকডাউন বা সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা হবে নিষ্ঠুর এবং আত্মঘাতী।
আলোচনায় আরও অংশ নেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, সা কা ম আনিছুর রহমান খান, সিরাজ মিয়া এবং তৌহিদ হোসেন। প্রস্তাব উত্থাপন করেন শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ