নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার মূল ফটকের সামনে তাশিক মির্জাকে রক্তাক্তকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফের ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
বুধবার (৫ মে) রাত ১২টা ২৫ মিনিটে মির্জা কাদের তার ফেসবুক আইডি থেকে এ আল্টিমেটাম দেন।
স্ট্যাটাসে কাদের মির্জা লেখেন, আমার ছেলে তাশিক মির্জাকে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত রবিউলের উপস্থিতে থানার সামনে সন্ত্রাসীরা পাইপগান দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাঠিয়ে চৌচির করে রক্তে রঞ্জিত করেছে। ওই সব সন্ত্রাসী হলো কিলার বাদল, কিলার রাহাত, কিলার আকরাম উদ্দিন সবুজ, কিলার রুমেল, কিলার রিমন, কিলার কচি ও কিলার মঞ্জুর নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিল।
ওই দিন একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারকে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে বলছে, মির্জার ছেলেসহ তার কোনো লোককে চিকিৎসা দিবে না। সন্ত্রাসীরা ডাক্তারদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে আমরা অন্য স্থান থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
অন্যদিকে, ওসি রনি ওই মুহূর্তে আমার অফিসে এসে আমার নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে যেন কেউ বাহিরে না যেতে পারে। আমার ছেলেকে আহত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।
আমার ছেলেকে যারা রক্তাক্ত করেছে ওই সব সন্ত্রাসী আজ রাত ১০টার সময় থানার সামনে এবং পুরো বাজারে অস্ত্র নিয়ে সুসজ্জিত হয়ে অস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা আমার নেতাকর্মীদের মারার জন্য বাজারে অবস্থান নেয়। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যারা আমার ছেলেকে রক্তাক্ত করছে তাদের গ্রেফতার করা না হয়। তাহলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আমি দায়ী থাকবো না।
স্ট্যাটাসের বিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশে সেদিন মাথা ফাটিয়ে চৌচির করে দিয়েছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হলেও এখনো সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করছে। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় তারা কোম্পানীগঞ্জকে অশান্ত করার উদ্দেশে বিভিন্ন স্থানে মিছিল করছে। আমি যতো জায়গায় বিচার দিয়েছি সবাই বলেন চুপ থাকেন, অপেক্ষা করেন। আপনাদের বলা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নাই।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। ওই পৌরসভায় তৃতীয় মেয়াদে গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে আলোচনায় আসেন তিনি।
স্থানীয় রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে দলীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধের ঘটনায় এক মাসে দুটি সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাছাড়া তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২১
এনটি